Saturday, June 30, 2018

# ভাগ্যের লিখন ও শাসকের ইতিকথা #

আয়োজনে যা থাকবে মাদারীপুর--৩ নির্বাচনী আসনে ১৯৭০ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত শাসকদের পরিচয়,তাদের জন্ম স্থান, তাদের শাসন কাল সহ এদের উন্নয়নের ফিরিস্তি এবং কালের বিবর্তনে চোখে পড়ারমত উন্নয়নের বিবরন তুলে ধরা হবে।অবশেষে কপালের লিখন বলতে তো একটা প্রবাদ প্রবচন। আলহাজ্ব সৈয়দ আবুল হোসেন সমর্থকগোষ্ঠী

# ভাগ্যের লিখন ও শাসকের ইতিকথা #

আজ আমরা স্বাধীন।আমরা পরিপূর্ন স্বাধীনতার সুফল ভোগ করতেছি।স্বাধীনতার ৪৬ বছর অতিক্রম করে ৪৭ বছরে পর্দাপন করলাম---- যাক এসব প্রসংগ। বিরতির কমা ব্যাবহার করে শুরু করলাম মাদারীপুর--৩ নির্বাচনী এলাকার শাসকদের ইতি কথা নিয়ে আজকের আয়োজন---------

স্বাধীনতার এক বছর পূর্ব হতে মাদারীপুর--৩ আসনের এম,এল,এ, ছিলেন বাশগাড়ী নীবাসী মরহুম এড্যাঃ মতিউর রহমান।কতিথ আছে যে ১৯৭১ পরর্বতী কিছু সময় বঙ্গবন্ধু সরকারের একজন জাতীয় সংসদ ছিলেন।এরপর নির্বাচিত শাসক নিয়োগ হন মরহুম আঃ রাজ্জাক সাহেব।তিনি শরিয়তপুর জেলা নিবাসী। ১৯৭৫ সালের পটপরির্বতনে শাসকের পরির্বতন হয়------ শাসক নির্বাচিত হন মরহুম আঃ মান্নান সিকদার।অবশ্য তিনি একজন প্রতিমন্ত্রী নিয়োগ পেয়েছিলেন। তার শাসনকাল ছিল ১৯৮১ সালের শেষ পর্যন্ত। আগমন ঘটে স্বৈরশাসনের------ ঘটে শাসকের পরির্বন।শাসক নির্বাচিত হন শেখ শহীদুল ইসলাম। প্রমোশন হয় মন্ত্রী পরিষদের সদস্য হিসাবে।তাও আবার শিক্ষা মন্ত্রী হিসাবে।জনাব শেখ শহীদুল ইসলামের জম্নস্থান গোপালগন্জ জেলার টুংগীপাড়া উপজেলায়। তিনি শাসন করেছেন ১৯৯০ সালের ৬ ই ডিসেম্বর পর্যন্ত।

দেশে স্বৈরশাসকের পতনের পর হয় শাসকের পরির্বন---------- শাসক নির্বাচিত হন আলহাজ্জ সৈয়দ আবুল হোসেন।তিনি চার চার বার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।এমনকি দুই বার মন্ম্রী পরিষদের সদস্য ও হয়েছেন।আলহাজ্জ সৈয়দ আবুল হোসেন ছিলেন কালকিনি বাসী।

তারপর ২০১৪ সালের ৫- ই জানুয়ারী নির্বাচনে ঘটে শাসকের পরিবর্তন। আর শাসক নির্বাচিত হন আ,ফ,ম বাহাউদ্দিন( নাসিম সাহেব)। এখন পর্যন্ত বহাল আছেন। তার জন্ম মাদারীপুর জেলা সদরে।

উন্নয়নের ফিরিস্তি-------- এমনিতেই আওয়ামীলীগ ছাড়া অন্য রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে বিমাতাসুলভ আচরন পেতো। তাই কাংখিত উন্নয়ন হতো না। তারপর ও ধারাবাহিক উন্নয়ন বলতে একটা কথা আছে--- তার থেকে ও ছিল অবহেলিত। তাই বলে উন্নয়ন হবে না?

সেই ১৯৯১ সাল থেকে ২০১৪ সালের ৪-ঠা জানুয়ারী ছিল --- GOLDEN STAIRS OF KALKINI UPJELA. অর্থ--- স্বর্নের সোনালী সোপানের কালকিনি উপজেলা। সাবাস!!! শাসক---- আলহাজ্ব সৈয়দ আবুল হোসেন।আপনার শাসন আমল ছিল অহিংস,সুস্থ,কোন্দল মুক্ত রাজনীতির কালচার।তার উন্নয়নের ফিরিস্তি এই অল্প লেখায় শেষ করা যাবে না। তাই অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও শিক্ষায় উন্নয়ন নিয়েই লিখব।

আলহাজ্জ সৈয়দ আবুল হোসেন তার নির্বাচনী এলাকায় নিজ পিতার নামে সহ তার নিজ নামে ৬ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করেছেন।এই প্রতিষ্ঠান গুলো জাতীয় সুনাম অর্জন করেছে।বিশেষ করে এ পর্যন্ত ৯২০ জনছাত্র- ছাত্রী বিভিন্ন ক্যাডারে বি,সি,এস,এ পাশ করে রাষ্টের বিভিন্ন গুরুত্ত পূর্ন পদে অধিষ্টিত রয়েছেন। এটাই গর্ব। আলহাজ্জ সৈয়দ আবুল হোসেন এর উন্নয়ন কর্মে ছিল দেশপ্রেম আর আন্তরিকতা। যা মানুষকে মানবতার পথ দেখায়।

আয়োজনের শেষ প্রান্তে থাকবে " ভাড়াটিয়া" শব্দ ব্যাবহার করে শেষ সমাপ্তি ঘটাবো---------- মাদারীপুর--৩ নির্বাচনী এলাকার জনগন শাসিত হয়েছেন " ভাড়াটিয়া" দ্বারা ২৬ বছর আর কালকিনি নিবাসী আলহাজ্জ আবুল হোসেন কর্তৃক শাসিত হয়েছেন ২০ বছর।আজ কালকিনি বাসীর একটাই প্রশ্ন সেটা হলো------ কেন? আমাদের " ভড়াটিয়া" দের শাসক হিসাবে মেনে নিতে হবে? কালকিনি উপজেলায় একটি পৌরসভা সহ ১৫ টি ইউনিয়ন রয়েছে।একজন উপজেলা চেয়ারম্যান রয়েছেন----- এই জনপ্রতিনিধির মধ্যে বেশ কয়েকজন আছেন যারা একজন জাতীয় সংসদ সদস্য হওয়ার যোগ্যতা রয়েছে।তার পর ও কেন " ভাড়াটিয়া" দ্বারা আমরা শাসিত হব? রাজনীতি দলের কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন যাতে আমাদের যেন আর " ভাড়াটিয়া দ্বারা শাসিত হতে না হয়।

পাঠকদের দৃষ্ঠি আর্কষন-------- "ভাড়াটিয়া" শব্দটা ব্যাবহার করার জন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।(এডমিন)

Friday, June 22, 2018

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার স্বপ্নঃ

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার স্বপ্নঃ সৈয়দ আবুল হোসেন 

সারা বাংলাদেশে সৈয়দ আবুল হোসেন এপরিচিত মুখ। শিক্ষা বিস্তারে তাঁর উদার একাগ্রতা সর্বমহলে প্রশংসিত। শিক্ষার মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন সৈয়দ আবুল হোসেনের অনুধ্যায়ী চেতনার উজ্জ্বল প্রকাশ। তৃতীয় বিশ্বে তাঁর মতো উদার লোক খুব কম আছে। বাংলাদেশে অনেক লোক আছে তাঁর চেয়ে অনেক বেশি বিত্তের অধিকারী কিন্তু তাঁর মতো চিত্তের অধিকারী না হলে তো আর নিজের কষ্টার্জিত অর্থ এমন মহান উদারতায় দান করা যায় না। সার্বিক কর্মকান্ড বিবেচনায় আমেরিকার বায়োগ্রাফিক্যাল ইন্সটিটিউট আলহাজ্ব সৈয়দ আবুল হোসেনকে তথা শতবর্ষের শ্রেষ্ঠ মানুষ পদকে ভূষিত করে। শিক্ষা বিস্তারের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি শেরে-বাংলা পদক, জাতীয় পুরস্কার, অতীশ দীপঙ্কর পদক এবং মোতাহার হোসেন পদক ছাড়াও অনেক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।

নিরহঙ্কারী মানুষ ও সহনশীল রাজনীতির প্রবক্তা সৈয়দ আবুল হোসেন স্বল্প সময়ের মধ্যে সবার নজরে নমস্য বিমূর্ততায় অভিভূত হয়ে উঠেছেন। বহুমুখী তার যোগ্যতা। তিল তিল পরিশ্রমে সাকো ইন্টারন্যাশনালের মতো বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক হয়েও নিতান্তই অনাড়ম্বর। ব্যবসার মতো রাজনীতিতেও ঈর্ষণীয় সাফল্যের অধিকারী। তবু নির্লোভ। যার লোভ নেই, তিনি সবার কাছে লোভনীয়, আকর্ষণীয়। মন্ত্রণালয়ে সচিব হতে শুরু করে পিয়ন, গ্রামে ধনী হতে শুরু করে ভিক্ষুকÑ সবার প্রতি সমভাবালুতা সৈয়দ আবুল হোসেনের মহানুভবতার অনাবিল প্রমাণ।


Syed Abul Hossain in International Arena

সৈয়দ আবুল হোসেনের কথা, আচরণ কিংবা ব্যবহারে প্রতিপক্ষ কখনও আহত হন না। তিনি কাউকে কষ্ট দিয়ে কোনো কথা বলেন না। সংসদে, মাঠে, রাজনীতিক মঞ্চে, অফিসে, মন্ত্রণালয়েÑ সবখানে তিনি অমায়িক, মার্জিত। কেউ তাঁর প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে উঠলেও তিনি ক্ষুব্ধ হন না। তিনি ‘রাগ ও ক্ষুব্ধতাকে’ পাগলামির নামান্তর মনে করেন। অনেক সময় অনেকে তাঁর প্রতি ক্ষুব্ধ হন। তিনি থাকেন সাবলীল, সহাস্য। এরূপ হাসি দিয়ে তিনি কত রাগান্বিত লোকের হƒত স্বাভাবিকতা পুনরায় ফেরত দিয়েছেন তার ইয়ত্তা নেই। কৃতজ্ঞতা তাঁর চরিত্রের আর একটি বিশেষ গুণ। কেউ তাঁর সামান্য উপকার করলে তিনি তা কথা, কাজ আর নিষ্ঠা দিয়ে অসংখ্যভাবে ফেরত দিয়ে দেন। মার্জিত ভাষা ও সুললিত কণ্ঠের অধিকারী সৈয়দ আবুল হোসেনের কণ্ঠ যেমন মুগ্ধকর তেমনি অনাবিল, মধুময়। প্রতিটি বাক্য অকাট্য যুক্তির নির্যাস; স্পষ্ট এবং অর্থবহুল। অপ্রয়োজনীয় কথা বলাকে তিনি অপ্রয়োজনীয়ভাবে বুলেট ছোড়ার সামিল মনে করেন। যথাযোগ্য মর্যাদা প্রদান ও ব্যক্তি নির্বাচনে তাঁর জুড়ি নেই। প্রাক্তন সচিব সৈয়দ আলমগীর ফারুক চৌধুরীর ভাষায়: কোনো ব্যক্তিকে কি দায়িত্ব দিতে হবে তা তিনি লোকটিকে এক পলক দেখেই বুঝে নিতে পারেন। 
কর্মস্থলে তিনি অমায়িক বাৎসল্যে পরিশুদ্ধ একটি আলোকবর্তিকা। সৈয়দ আবুল হোসেনের সংস্পর্শ সবাইকে পরশপাথরের মত বদলে দেয়, গড়ে তুলে নতুন ভাবনার চিরন্তন সৌকর্যে। তিনি বলেন কম, প্রকাশ করেন অধিক। শোনেন বেশি, শুনান কম। আইন-কানুন, বিধি-বিধান, রাষ্ট্র ও প্রশাসন সম্পর্কিত খুঁটিনাটি বিষয়ে তার সম্যক জ্ঞান রয়েছে। পরাজয় স্বাভাবিক, তাই বলে পরাজয়কে বিনা প্রতিরোধে মেনে নেয়ার পাত্র তিনি নন। পরাজয় তাঁকে আহত করে না, বরং নব-প্রত্যয়ে দীপ্ত করে। ভুল হতে শিক্ষা নিয়ে ভুলের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন অবলীলায়। তাঁর ভাষায়, ‘আই এ্যাম এ সেল্ফমেইড ম্যান, আই থিংক এভরিওয়ান ক্যান রিচ, হোয়ার আই এ্যাম; শো আই হ্যাভ রেসপেক্ট ফর অল।’

জীবনকে কর্মনিষ্ঠার মাধ্যমে সততার সাথে পরিচালনা করেন বলে তাঁর মুখে হাসির ছটা বৈকালিক প্রহরের মতো লেগে থাকে। তাঁর কাজ মমতায় জীবন্ত, শাসনবিন্দু রূপোলি আলোর মতো মুগ্ধকর। রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, কলামিস্ট, সমাজ-সংস্কারক, শিক্ষানুরাগী, সংগঠক, লেখক, মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য এতগুলো প্রত্যয়কে নিয়েও তিনি পথ চলেন স্বাচ্ছন্দ্যে। ব্যাঘাত ঘটে না সংসার জীবনের। সময় দেন সবাইকে যার যেমন প্রাপ্য। উপস্থিত হন যেখানে প্রয়োজন। সৈয়দ আবুল হোসেন দেশপ্রেমিক। জাতির দুঃসময়ে আপন বলয়ে সামর্থ্যরে পূর্ণ ডালা নিয়ে এগিয়ে যান মানুষের প্রয়োজনে, জাতির কল্যাণে। উজাড় করে দেন নিজের সামর্থ্য।

কর্মে তিনি গণিতের মতো আক্ষরিক, চিন্তায় সময়ের মতো গতিশীল, ভালোবাসায় প্রকৃতির মতো লাস্যময়, স্নেহে পিতার মতো সুবিনয়; বিপদে ধরিত্রীর মত ধৈর্যশীল। তিনি আগামীকালের অপেক্ষায় থাকেন না, ওটি কখনও আসে না। আবার সাফল্যের জন্যও অপেক্ষা করেন না। সাফল্যের জন্য অপেক্ষা করার সময় তাঁর নেই। তাই সাফল্য ছাড়াই তিনি এগিয়ে চলেন। বাধ্য হয়ে সাফল্যই তাঁর পিছু নেয়। তিনি লক্ষ্যে স্থির। কোথাও তাড়াতাড়ি পৌঁছার চেষ্টা করার আগে কোথায় যেতে হবে এবং কীভাবে যেতে হবে সেটিই আগে স্থির করে নেন। তাই তাঁর লক্ষ্য চ্যুত হয় না, সময় অপচয় হয় না। তিনি অতীতের জন্য আফশোস করেন না এবং ভবিষ্যতের কথা ভেবে অস্থিরও হন না। তাই সর্বক্ষণ অবিচল থাকতে পারেন। সৈয়দ আবুল হোসেন মিতভাষী। অপ্রয়োজনীয় কথা বলেন না। কর্ম, জয়-পরাজয় ও ত্যাগ এ ত্রয়ী সমন্বয়ে জীবনের প্রতিটি বিষয়কে উপভোগ করেন নৈসর্গিক সৌন্দর্যের নির্মল আনন্দে। লক্ষ্য ভেদকে সৈয়দ আবুল হোসেন গন্তব্যস্থল মনে করেন না, মনে করেন পরবর্তী যাত্রার হাতছানি। পথ যত লম্বা হোক তার নজর সেদিকে পড়ে না। তিনি বিশ্বাস করেন, যার আরম্ভ আছে তার শেষও আছে। অসীমতার শুরু বিন্দু হতে। যেখানে পুরাতনের শেষ সেখানে নতুন কিছুর শুরু। অনেকে রাজনীতি করেন ক্ষমতার জন্য, ভোগের জন্য। সৈয়দ আবুল হোসেন রাজনীতি করেন ত্যাগের জন্য, উন্নয়নের জন্য। রাজনীতিতে আসার পর তিনি রাজনীতি হতে এক পয়সাও লাভবান হননি বরং তাঁর আগমন বাংলাদেশের রাজনীতিকে সমৃদ্ধ করেছে, পরিশুদ্ধ করেছে। পরের ধনে পোদ্দারি কি রাজনীতি? আমাদের দেশে রাজনীতি মানে পরের ধনে পোদ্দারি, ছোট ছোট জনগণের বিন্দু বিন্দু ক্ষমতা জড়ো করে অধিকাংশ রাজনীতিক জনগণের উপর পোদ্দারি করেন। সৈয়দ আবুল হোসেন এমন একজন মানুষ যিনি জনগণের ক্ষমতা জনগণকে ফিরিয়ে দিয়ে পুরো নিঃস্ব হবার প্রত্যয়ে দৃপ্ত। নিপাট অধ্যবসায়, প্রগাঢ় মনোনিবেশপ্রসূত অভিজ্ঞান ও কৃতজ্ঞতার তিলোত্তম মহিমায় বিভূষিত এবং অভাবনীয় অন্তর্দৃষ্টি ও যৌক্তিক মিথষ্ক্রিয়ার মাঝে সত্য-মিথ্যা ও বাস্তবতাকে চিহ্নিত করে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার এক অলৌকিক ক্ষমতা রয়েছে সৈয়দ আবুল হোসেনের। তাই তিনি পা হতে মাথা পর্যন্ত মননে-দর্শনে পরিপূর্ণ আদর্শের অনুসরণীয় একজন আকর্ষণীয় নেতা।
সৈয়দ আবুল হোসেন রাজনীতিবিদ, তবে গতানুগতিক নন। তিনি যুক্তিতে অমিয়, বস্তুনিষ্ঠায় অনুপম। বাংলাদেশে তিনি সহনশীল রাজনীতির প্রবক্তা হিসেবে পরিচিত। রাজনীতির মাঠেও প্রতিদ্বন্দ্বীর গলা জড়িয়ে ধরতে পারেন পরম ভালোবাসায়, নিবিড় শ্রদ্ধায়। তাঁর নির্বাচনী এলাকায় কোনো দলবাজি নেই। উন্নয়ন ছাড়া তিনি কিছু বোঝেন না, ভালোবাসা ছাড়া কিছু অনুভব করেন না। তাঁর ভোটারগণও তাঁর প্রতি অনুরূপ অনুরক্ত। তারা সৈয়দ আবুল হোসেন ছাড়া আর কিছু বোঝেন না। তাই নির্বাচনী এলাকায় না গিয়েও তিনি বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে আসেন।

ধর্ম সম্পর্কে তাঁর ধারণা, অভিব্যক্তি ও বিশ্বাস যেমন উদার তেমনি প্রজ্ঞাময়। তিনি মুসলমান, বিয়ের পূর্বে হজ করেছেন। নিয়মিত নামাজ আদায় করেন। তাঁর শরীরে হযরত আলীর রক্ত। তবে তিনি অসাম্প্রদায়িক। তাঁর ভাষায়, ‘চূড়ান্ত বিশ্লেষণে হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সকলেই একই স্রষ্টার সৃষ্টি। তিনি বলেন, মানবতার চেয়ে বড় ধর্ম আর নেই। আমি সে মানবতায় বিশ্বাসী। চিন্তা ও চেতনায়, কাজে ও কর্মে একজন মানবতাবাদী ধর্ম নিরপেক্ষ ব্যক্তি হিসেবে আমার অবস্থান। সে ভাবেই আমি শিক্ষা পেয়েছি। সেভাবেই জীবন গড়েছি। মনুষ্যত্বের পরিচয়েই আমি মানুষকে বিচার করে থাকি। আমার কাছে সবসময় মানুষই বড়। আমার ব্যবহারিক জীবনেও এ আদর্শই আমি সবসময়েই অনুসরণ করে আসছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘একটি অসাম্প্রদায়িক খাঁটি বাঙালি পরিবেশে আমি মানুষ হয়েছি এবং সেই শিক্ষাই ধারণ করে চলেছি। সেই শিক্ষাই ধারণ করে চলব আমৃত্যু। সেই শিক্ষাই আমাকে প্রণোদিত করেছিল, উদ্বুদ্ধ করেছিল মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিতে। নারীর ক্ষমতায়ন ও মর্যাদা রক্ষায় সৈয়দ আবুল হোসেনের আন্তরিকতা সতত প্রশংসনীয়। নারী শিক্ষার প্রসারে তিনি নিজ গ্রামে প্রতিষ্ঠা করেছেন শেখ হাসিনা একাডেমি এন্ড উইমেন্স কলেজ। ঐ কলেজে অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রীদের যাবতীয় ব্যয়ভার সৈয়দ আবুল হোসেন নিজেই বহন করেন। নারী ও নারীশিক্ষার প্রতি সৈয়দ আবুল হোসেনের দরদ প্রকাশ করতে গিয়ে তাঁর এক বাল্যবন্ধু বলেন, ‘কোনোদিন তাকে আমি কোনো মেয়ের প্রতি অসৌজন্যমূলক আচরণ করতে দেখিনি। কোনো মেয়ের প্রতি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কটাক্ষ করতেও দেখিনি। সে এগুলো প্রচন্ড ঘৃণা করত। নারীর প্রতি এত মর্যাদা দিতে আর কোনো মানুষকে আমি দেখিনি। নারী শিক্ষার জন্য তাঁর আগ্রহ নারীর প্রতি মর্যাদা ও তাদেরকে আর্থসামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে তাঁর আগ্রহের প্রমাণ বহন করে। সে এখন নারীশিক্ষার জন্য অনেক স্কুল কলেজ ও কর্মমুখী প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে। বাংলাদেশে তাঁর চেয়ে অনেক ধনী ব্যবসায়ী, অনেক বড় রাজনীতিবিদ আছেন; কিন্তু কে কয়টা সৈয়দ আবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের মতো আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন! কালকিনির সৈয়দ আবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, খোয়াজপুরের সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজ, ডাসারের শেখ হাসিনা উইমেন্স একাডেমি এন্ড কলেজ, ডি কে সৈয়দ আতাহার আলী একাডেমী এন্ড কলেজে শিক্ষাক্ষেত্রে অহঙ্কারের নৈবদ্যিক সংযোজন। তাঁর বৃত্তিতে প্রতি বছর হাজার হাজার ছাত্র লেখাপড়ার সুযোগ পাচ্ছে। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ আবুল হোসেন সাধারণ পারিপার্শ্বিকতায় বেড়ে ওঠা অসাধারণ একজন মানুষ। যার শেকড় পাতালে, মস্তক কল্পনার আকাশ ছুঁয়ে স্তম্ভিত অপলক।
কেন তিনি শিক্ষাবিস্তারে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় এত ব্যাকুল? অনেকে নামের জন্য, প্রচারের জন্য প্রতিষ্ঠান করেন। তবে সৈয়দ আবুল হোসেনের মানসিকতা সম্পূর্ণ ভিন্ন। কেন তিনি শিক্ষার প্রসারে এত উদগ্রীব তা তাঁর জবানিতেই শোনা যাক :
টলস্টয় বলেছেন- ‘বিদ্যালয়ই উন্নতির মাধ্যম। বিদ্যালয়ই মানুষকে সভ্য করে তোলে।’ এলজিা বফ চমৎকার কথা বলেছেন। তার মতে, ‘বয়স্কদের জন্য কারাগার অথবা ফাঁসিমঞ্চ নির্মাণ করার প্রয়োজন কমে যাবে যদি উত্তম বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা যায়।’ আমি মনে করি এর চেয়ে সত্য কথন আর হয় না। বিদ্যালয়ে জ্ঞান অর্জন করলে চরিত্র গঠিত হয়। ন্যায় অন্যায়ের পার্থক্য বোঝা যায়। অপরাধ প্রবণতা হ্রাস পায়। তাহলে আর কারাগার বা ফাঁসির মঞ্চের প্রয়োজন রইল কোথায়? সুতরাং আমি মনে করি কারগার নির্মাণে মনোযোগ দেয়ার চেয়ে অধিক হারে বিদ্যালয় নির্মাণে, শিক্ষার প্রসারে মনোযোগ দেয়া দরকার। সে কারণেই আর একজন জ্ঞানী ব্যক্তি বলেছেন, ‘স্কুল তৈরির মতো মহৎ ও কল্যাণকর কাজ আর দ্বিতীয়টি নেই’। এই চিন্তাচেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আমি আমার সাধ্যমতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলায় আত্মনিয়োগ করেছি। আমি মনে করি, এটা আমার সামাজিক অঙ্গীকার। দেশ ও দেশের মানুষের প্রতি আমার কর্তব্য। আমি সিক্ত আমার এলাকার মানুষের ভালোবাসায়। তাদের কাছে আমার ঋণের শেষ নেই। সেটা আমি শোধ করতে পারি শিক্ষার আলো জ্বেলে বা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। ব্যক্তিকে সাহায্যদানের আবেদন সব সময়ই সাময়িক। প্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার আবেদন কালজয়ী।’ সৈয়দ আবুল হোসেন ঠান্ডা মেজাজের লোক। কষ্ট বা রাগে হয়ত বুক ফেটে চৌচির হয়ে যায়, তবু মাথা ঠান্ডা রাখেন। কোনো অবস্থাতে মাথা গরম করেন না। ফলে কথাবার্তা কখনও শালীনতার পর্যায়কে অতিক্রম করতে পারে না। তাই যে কোনো বিপদে তিনি অস্থির নাÑহয়ে চিন্তা ভাবনা করে অগ্রসর হতে পারেন। তিনি আপাদমস্তক কুশলী ও বিচক্ষণতায় মোড়া। এমনভাবে বলেন, যাতে কেউ কষ্ট না-পায়, এমনভাবে দেখেন যাতে কারও মনে দুঃখ বা ভীতির সঞ্চার না হয়; বরং আনন্দ জাগে। কারও সমালোচনা করার সময়ও শালীনতাবোধ বজায় রাখেন। তিনি তর্কে যৌক্তিক, চেতনায় উদার। কথা বলার সময় কোটেশনের পর কোটেশন দিতে পারেন। কথার মাঝে কিছু রস থাকে। যা কথাগুলোকে উপভোগ্য এবং হƒদয়গ্রাহী করে তোলে। তবে ব্যক্তিত্বের হানি হয় না। তিনি রাগ সম্পর্কে তাঁর একটা নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি আছে। সেটি হল- এতগুলো প্রত্যয়কে সমন্বয় করে রাগ করা পৃথিবীর খুব কম মানুষের পক্ষে সম্ভব। তাঁর চাইতে নিজের রাগকে গোপন রাখাই সর্বোত্তম।

বাংলা সাহিত্যের দিকপাল সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ভাষায়, ‘সৈয়দ আবুল হোসেন খুবই শ্রদ্ধেয় এবং একজন বিরাট মাপের মানুষ।’ তিনি সময়, মানুষ, রাজনীতি, পারিপার্শ্বিক বলয়, আর্থসামাজিক অনুরণন ও স্বীয় জীবনকে পরিশীলিত মাধুর্যে সমন্বয় করে আর্থ-সামাজিক ও রাজনীতিক ব্যবস্থার প্রতিটি ক্ষেত্রকে অমিয় মহিমায় উদ্ভাসিত করতে সক্ষম একজন পরিপূর্ণ মানুষ। সময়কে তিনি আধুনিকতার সাথে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। তাই তিনি সময়ের পরশপাথর। -মোহাম্মদ আমীন : লেখক, সাহিত্যিক, কলামিস্ট ও ইতিহাসবেত্তা






কার পাপে কে সাজা পায়?

ভারতীয় একটি বাংলা ছবি সবার উপরে নায়ক উত্তম কুমারের বাবার ২২ বছর মিথ্যা খুনের দায়ে জেল হয়েছিল। যখন প্রমানিত হল যে আসল খুনি অন্য কেউ, তখন উত্তম কুমারের বাবা আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বলেছিলেন -""মিথ্যে এ বিচার, এ রায় এ প্রহসনের রায় আমি মানিনা; আমি মুক্তি চাইনা; ফিরিয়ে দাও আমার সে ২২ টি বছর""
*
সৈয়দ আবুল হোসেনের সারা জীবনের অর্জনকে হিলারী ইউনুস খালেদা মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন দুর্নীতির অপবাদে মন্ত্রীত্বই শুধু কেড়ে নেয়নি; সৈয়দ আবুল হোসেনের সারা জীবনের স্বপ্ন সাধনা এবং দেশ ও জাতির জন্য বিশেষ করে শিক্ষা ক্ষেত্রে যূগান্তকারী অবদানের মাধ্যমে অর্জিত সকল মান সন্মান খ্যাতিকে কলংকিত করেছিল; কলুষিত করেছিল বাঙ্গালী জাতিকে, কলুষিত করেছিল শেখ হাসিনার সরকারকে। 
বলা হয়েছিল " বিশ্ব ব্যাংক পদ্মা সেতু নির্মাণে কোন প্রকার সাহায্য সহযোগিতা করবে না কারন বাংলাদেশ সরকার ও বিভাগীয় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক ক্যানাডিয়ান নির্মাতা কোম্পানীর নিকট কোটি ডলার উতকোচ দাবী করেছে এবং আরো অনেক রকম সীমাহীন দুর্নীতি ধরা পড়েছে" 
আসলেই ছিল এটা হিলারী বয়ফ্রেন্ড ইউনুসের চাল এবং খালেদার ইন্দন। কিন্তু সৈয়দ আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে ক্যানাডিয়ান আদালতে।