মাদারীপুর কালকিনি৩ নির্বাচনী এলাকার স্বাধীনতাত্তোর কিছু অযাচিত প্রত্যাশার কথাঃ
আওয়ামী লীগের নেতা পরিবর্তনে মাদারীপুর কালকিনি৩ আসনের ভোটার ও নিরীহ জনগণের কোন ভূমিকা ছিল না।
বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে প্রশিক্ষনদাতা মহান স্বাধীনতার সফল সংগঠক মরহুম এডভোকেট মতিউর রহমানের পরে এই কালিকিনির রাজনীতি পচে গিয়েছে। এখানে সেই ডামূড্যা থেকে রাজ্জাক ভাইকেও আনা হয়েছিল ৭৩ সালে।
কি দরকার ছিল? কালকিনিতে কি এমন ভালো নেতা ছিল না? ৭৩ সালে তো হাবিবুর রহমান আজাদ দল পরিবর্তন করেনি? কালকিনির ইতিহাসে প্রথম সংসদ সদস্য (১৯৭০ এম সিএ) এডভোকেট মতিউর রহমানের উপর যে অবিচার করা হয়েছিল; বিকল্প হিসেবে কালকিনিবাসী বিশেষ করে সকল মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের নৌকার মানুষগুলোর প্রত্যাশা ছিল হাবিবুর রহমান আজাদকে নোমিনেশন দেয়া হবে। দেখা গেল সেখানে ডামূড্যা শরীয়তপুর থেকে আনা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর রাজ্জাক, আমাদে গুরু রাজ্জাক ভাইকে। যদিও তিনি আমাদেরই নেতা ছিলেন কিন্তু তিনিতো খোদ কালকিনি থানার বাসিন্দা বা ভোটার ছিলেন না।
এডঃ মতিউর রহমান এম পি পরেই চরম অবিচার করা হয় হাবিবুর রহমান আজাদের উপর। মুজিব বাহিনীর ( বি এল এফ) এর তুখোড় ছাত্রনেতা হতাশায় খোভে দুঃখে শেখ শহীদুল ইসলামের সাথে বন্ধুত্বের সূত্রে দল বদল করতে বাধ্য হন। এমন কি হাবিবুর রহমান প্রথমে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সৈনিক ঘোষনা দিয়ে বঙ্গবন্ধুর ছবি সম্বলিত পোষ্টার দিয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করতে বাধ্য হয়।
দল এক একজন নিবেদিত ত্যাগি তুখোড় কর্মঠ চৌকস অভিজ্ঞ নেতা/নেত্রীদের যদি মূল্যায়ন না করা হয়; তখন তারা বিদ্রোহ করতে বাধ্য হয়; হাবিবুর রহমান আজাদ তাই করেছিলেন। এবং এর মূল কারনই ছিল আসল তৃনমূল নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন না করে জানা শোনা বা মূখচেনা জনপ্রিয় নেতাদের নোমিনেশন দেয়া। আমরাই রাজ্জাক ভাইকে পাস করিয়েছিলাম ১৯৭৩ সালে। কিন্ত যেখানে রাজ্জাক ভাই ফরিদপুর ডামূড্যার ২টি আসনে নির্বাচন করছেন, সেখানে বঙ্গবন্ধু কার কথায় কার পরামর্শে মাদারীপুর কাপানো , ১৯৭১ এ কোলকাতা কাঁপানো সাংবাদিক নেতা, ৬৯ এর পূর্ব পাকিস্তান কাঁপানো তোফায়েল আহমেদ শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন আ স ম আব্দুর রব আব্দুল কুদ্দুস মাখন নূর ই আলম সিদ্দিকী ও শাহজাহান সিরাজদের মত জাতীয় ছাত্রনেতাদের সাথে বঙ্গবন্ধুর নামে মিথ্যা আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার প্রতিবাদে বিদ্রোহী বাংলাকে যে সকল ছাত্রনেতা সাইক্লোন ও টর্পেডোর মত কাপিয়ে দিয়েছিল; সে হাবিবুর রহমান আজাদ কেন কালকিনি আসনে ১৯৭৩ সালে নোমিনেশন পাবে না?
এ গুলো হাবিবুর রহমান আজাদের মনের কথা বা ক্ষোভ নয়; এ সব তথ্য আমার ব্যক্তিগত মতামত এবং আমার স্বচোখে দেখা বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকেই আমি উল্লেখ করছি। আমি কারো চামচামি করতে রাজি নই; হাবিবুর রহমান আজাদ আমাকে বাসায় নিমন্ত্রণ করে এক বেলা খাওয়ায় নাই যে তাঁর প্রশংসা করবো; যা সত্য তাই বলতে হবে;
মুক্তিযুদ্ধ ও পরবর্তী আওয়ামী লীগের কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভুল সিদ্ধান্ত ও ব্যর্থতার কথা অস্বীকার করার উপায় নেই; সঠিক ইতিহাসকে মিথ্যা দিয়ে ঢেকে রাখা যায়না যেমন ঢেকে রাখা যায়না অগ্নিকে কাপড় বা কম্বল দিয়ে।
মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মরহুম মতিউর রহমান ভাই যখন আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী পরিষদে ঠাই পেলেন না, তিনি বাধ্য হয়ে দলের চেয়ে কো-অপারেটিভ এবং নিজের আইনী ব্যবসার দিকে ঝুকে পড়েছিলেন, তখন হাবিবুর রহমান আজাদকে কেন দেয়া হল না? হাবিবুর রহমান আজাদ কি অযোগ্য ছিল? ৬৯ এর গণ অভ্যন্থানের নায়ক হাবিবুর রহমান আজাদ, কালকিনিবাসীকে রাজনীতি শিখিয়েছিল এই হাবিবুর রহমান আজাদ আর এডঃ মতিউর রহমান, তাদের থেকে কেড়ে নিয়ে ডামূড্যার রাজ্জাক ভাইকে নমিনেশন দেয়া ছিল জাতিরজনকের এক ভূল সিদ্ধান্ত। সে দিন থেকেই শুরু হল ভাড়াটিয়া নেতাদের আবির্ভাব এবং আজো চলছে সে ভাড়াটিয়া নেতার বিচরণ।
কালকিনিকে স্বয়ং নেত্রীও মূল্যায়ন করেন নি। সৈয়দ আবুল হোসেনকে ঠিক খালেদা জিয়ার ফাতেমার মত বিনা অপরাধে জেল বরণ করিয়েছিলেন । কেড়ে নেয়া হল মন্ত্রীত্ব, কেড়ে নেয়া হল সাংসদের পদ এবং সকল মর্যাদা।
সে কালকিনিতে একান্ত নিকটের বলেই আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম কে দেয়া মোটেও সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল না।
নাসিম সাহেব যে কাজটি করেছেন-আওয়ামী লীগকে কালকিনি উপজেলায় আড়িয়াল খাঁ নদীতে চুবিয়ে চুবিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করেছেন। একটি সুন্দর স্বচ্ছ রাজনৈতিক দলের ব্যানারে নাসিম সাহেব কালকিনিকে দুই ভাগে ভাগ করে দুটি টুকরো করেছেন। একটি আওয়ামী তৃনমূল আর একটি হাইব্রীড কাউয়া এবং তিনি কাউয়া থেকে কোটি টাকা নিজের পকেটে ঢুকিয়ে আরো অপমান করেছেন আওয়ামী লীগ তথা জননেত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর ইমেজকে।
নাসিম সাহেব মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহ একান্ত সচিব ছিলেন, সে ক্ষমতার অপব্যবহারে নিজের ও লীগের ভাবমূর্তি তিনি গলাটিপে হত্যা করেছেন।


LikeShow more reactionsComment
Moktel Hossain Mukthi
মোকতেল হোসেন মুক্তিআওয়ামী লীগের নেতা পরিবর্তনে মাদারীপুর কালকিনি৩ আসনের ভোটার ও নিরীহ জনগণের কোন ভূমিকা ছিল না।
বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে প্রশিক্ষনদাতা মহান স্বাধীনতার সফল সংগঠক মরহুম এডভোকেট মতিউর রহমানের পরে এই কালিকিনির রাজনীতি পচে গিয়েছে। এখানে সেই ডামূড্যা থেকে রাজ্জাক ভাইকেও আনা হয়েছিল ৭৩ সালে।
কি দরকার ছিল? কালকিনিতে কি এমন ভালো নেতা ছিল না? ৭৩ সালে তো হাবিবুর রহমান আজাদ দল পরিবর্তন করেনি? কালকিনির ইতিহাসে প্রথম সংসদ সদস্য (১৯৭০ এম সিএ) এডভোকেট মতিউর রহমানের উপর যে অবিচার করা হয়েছিল; বিকল্প হিসেবে কালকিনিবাসী বিশেষ করে সকল মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের নৌকার মানুষগুলোর প্রত্যাশা ছিল হাবিবুর রহমান আজাদকে নোমিনেশন দেয়া হবে। দেখা গেল সেখানে ডামূড্যা শরীয়তপুর থেকে আনা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর রাজ্জাক, আমাদে গুরু রাজ্জাক ভাইকে। যদিও তিনি আমাদেরই নেতা ছিলেন কিন্তু তিনিতো খোদ কালকিনি থানার বাসিন্দা বা ভোটার ছিলেন না।
এডঃ মতিউর রহমান এম পি পরেই চরম অবিচার করা হয় হাবিবুর রহমান আজাদের উপর। মুজিব বাহিনীর ( বি এল এফ) এর তুখোড় ছাত্রনেতা হতাশায় খোভে দুঃখে শেখ শহীদুল ইসলামের সাথে বন্ধুত্বের সূত্রে দল বদল করতে বাধ্য হন। এমন কি হাবিবুর রহমান প্রথমে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সৈনিক ঘোষনা দিয়ে বঙ্গবন্ধুর ছবি সম্বলিত পোষ্টার দিয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করতে বাধ্য হয়।
দল এক একজন নিবেদিত ত্যাগি তুখোড় কর্মঠ চৌকস অভিজ্ঞ নেতা/নেত্রীদের যদি মূল্যায়ন না করা হয়; তখন তারা বিদ্রোহ করতে বাধ্য হয়; হাবিবুর রহমান আজাদ তাই করেছিলেন। এবং এর মূল কারনই ছিল আসল তৃনমূল নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন না করে জানা শোনা বা মূখচেনা জনপ্রিয় নেতাদের নোমিনেশন দেয়া। আমরাই রাজ্জাক ভাইকে পাস করিয়েছিলাম ১৯৭৩ সালে। কিন্ত যেখানে রাজ্জাক ভাই ফরিদপুর ডামূড্যার ২টি আসনে নির্বাচন করছেন, সেখানে বঙ্গবন্ধু কার কথায় কার পরামর্শে মাদারীপুর কাপানো , ১৯৭১ এ কোলকাতা কাঁপানো সাংবাদিক নেতা, ৬৯ এর পূর্ব পাকিস্তান কাঁপানো তোফায়েল আহমেদ শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন আ স ম আব্দুর রব আব্দুল কুদ্দুস মাখন নূর ই আলম সিদ্দিকী ও শাহজাহান সিরাজদের মত জাতীয় ছাত্রনেতাদের সাথে বঙ্গবন্ধুর নামে মিথ্যা আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার প্রতিবাদে বিদ্রোহী বাংলাকে যে সকল ছাত্রনেতা সাইক্লোন ও টর্পেডোর মত কাপিয়ে দিয়েছিল; সে হাবিবুর রহমান আজাদ কেন কালকিনি আসনে ১৯৭৩ সালে নোমিনেশন পাবে না?
এ গুলো হাবিবুর রহমান আজাদের মনের কথা বা ক্ষোভ নয়; এ সব তথ্য আমার ব্যক্তিগত মতামত এবং আমার স্বচোখে দেখা বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকেই আমি উল্লেখ করছি। আমি কারো চামচামি করতে রাজি নই; হাবিবুর রহমান আজাদ আমাকে বাসায় নিমন্ত্রণ করে এক বেলা খাওয়ায় নাই যে তাঁর প্রশংসা করবো; যা সত্য তাই বলতে হবে;
মুক্তিযুদ্ধ ও পরবর্তী আওয়ামী লীগের কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভুল সিদ্ধান্ত ও ব্যর্থতার কথা অস্বীকার করার উপায় নেই; সঠিক ইতিহাসকে মিথ্যা দিয়ে ঢেকে রাখা যায়না যেমন ঢেকে রাখা যায়না অগ্নিকে কাপড় বা কম্বল দিয়ে।
মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মরহুম মতিউর রহমান ভাই যখন আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী পরিষদে ঠাই পেলেন না, তিনি বাধ্য হয়ে দলের চেয়ে কো-অপারেটিভ এবং নিজের আইনী ব্যবসার দিকে ঝুকে পড়েছিলেন, তখন হাবিবুর রহমান আজাদকে কেন দেয়া হল না? হাবিবুর রহমান আজাদ কি অযোগ্য ছিল? ৬৯ এর গণ অভ্যন্থানের নায়ক হাবিবুর রহমান আজাদ, কালকিনিবাসীকে রাজনীতি শিখিয়েছিল এই হাবিবুর রহমান আজাদ আর এডঃ মতিউর রহমান, তাদের থেকে কেড়ে নিয়ে ডামূড্যার রাজ্জাক ভাইকে নমিনেশন দেয়া ছিল জাতিরজনকের এক ভূল সিদ্ধান্ত। সে দিন থেকেই শুরু হল ভাড়াটিয়া নেতাদের আবির্ভাব এবং আজো চলছে সে ভাড়াটিয়া নেতার বিচরণ।
কালকিনিকে স্বয়ং নেত্রীও মূল্যায়ন করেন নি। সৈয়দ আবুল হোসেনকে ঠিক খালেদা জিয়ার ফাতেমার মত বিনা অপরাধে জেল বরণ করিয়েছিলেন । কেড়ে নেয়া হল মন্ত্রীত্ব, কেড়ে নেয়া হল সাংসদের পদ এবং সকল মর্যাদা।
সে কালকিনিতে একান্ত নিকটের বলেই আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম কে দেয়া মোটেও সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল না।
নাসিম সাহেব যে কাজটি করেছেন-আওয়ামী লীগকে কালকিনি উপজেলায় আড়িয়াল খাঁ নদীতে চুবিয়ে চুবিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করেছেন। একটি সুন্দর স্বচ্ছ রাজনৈতিক দলের ব্যানারে নাসিম সাহেব কালকিনিকে দুই ভাগে ভাগ করে দুটি টুকরো করেছেন। একটি আওয়ামী তৃনমূল আর একটি হাইব্রীড কাউয়া এবং তিনি কাউয়া থেকে কোটি টাকা নিজের পকেটে ঢুকিয়ে আরো অপমান করেছেন আওয়ামী লীগ তথা জননেত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর ইমেজকে।
নাসিম সাহেব মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহ একান্ত সচিব ছিলেন, সে ক্ষমতার অপব্যবহারে নিজের ও লীগের ভাবমূর্তি তিনি গলাটিপে হত্যা করেছেন।


LikeShow more reactionsComment